সবকিছুর আদব রয়েছে।রোজারও আছে।রোজার আদব ছয়টি।মেহনত করে রোজার ছয়টি আদব অর্জন করে মুত্তাকি হিসেবে নিজেকে গড়ে তুললে জান্নাতুল ফেরদাউস পাওয়ার পথ সহজ হয়ে যায়।যা রোজার অন্যতম উদ্দেশ্য। যার মধ্যে তাকওয়া আছে তাকে মুত্তাকী বলা হয়। তাকওয়া অর্থ মহান আল্লাহর ভয়ে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা।
রোজার ছয়টি আদবঃ
♣️চোখকে গুনাহ থেকে বাঁচিয়ে রাখাঃ
আল্লাহ সূরা নূরের 30 থেকে 31 নাম্বার আয়াতে পরপুরুষ ও পরনারী উভয়ের দিকে তাকাতে নিষেধ করেছেন এবং চোখ নিম্নগামী রাখতে হুকুম করেছেন।প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুদৃষ্টিকারী ও যে কুদৃষ্টিতে পতিত হয় উভয়কেই লানত (অভিসম্পাত)করেছেন।
আল্লাহ সূরা নূরের 30 থেকে 31 নাম্বার আয়াতে পরপুরুষ ও পরনারী উভয়ের দিকে তাকাতে নিষেধ করেছেন এবং চোখ নিম্নগামী রাখতে হুকুম করেছেন।প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুদৃষ্টিকারী ও যে কুদৃষ্টিতে পতিত হয় উভয়কেই লানত (অভিসম্পাত)করেছেন।
♣️ জাবানকে গুনাহ থেকে বাঁচিয়ে রাখাঃ
সূরা কাহাফের 18 নম্বর আয়াতে আছে-জবান থেকে যা বের হয় তাই সংরক্ষণকারী ফেরেশতা রেকর্ড করে নেয় এজন্য জবানকে গীবত করা,মিথ্যা কথা বলা, ঝগড়া-ফ্যাসাদ,গান-বাদ্য সব ধরনের পাপাচার থেকে বিরত রাখা জরুরি।
সূরা কাহাফের 18 নম্বর আয়াতে আছে-জবান থেকে যা বের হয় তাই সংরক্ষণকারী ফেরেশতা রেকর্ড করে নেয় এজন্য জবানকে গীবত করা,মিথ্যা কথা বলা, ঝগড়া-ফ্যাসাদ,গান-বাদ্য সব ধরনের পাপাচার থেকে বিরত রাখা জরুরি।
♣️ কানকে গুনাহ থেকে বাঁচিয়ে রাখাঃ
সূরা বনী ইসরাইলের 36 নাম্বার আয়াতে আছে-কান,চোখ,অন্তর প্রত্যেকেই তাদের সম্পর্কে কিয়ামতের দিন জিজ্ঞাসিত হবে।মুখ থেকে গুনাহার যে বিষয়গুলো বের হয় তা কান দ্বারা শ্রাবণ করাও গুনাহ।
সূরা বনী ইসরাইলের 36 নাম্বার আয়াতে আছে-কান,চোখ,অন্তর প্রত্যেকেই তাদের সম্পর্কে কিয়ামতের দিন জিজ্ঞাসিত হবে।মুখ থেকে গুনাহার যে বিষয়গুলো বের হয় তা কান দ্বারা শ্রাবণ করাও গুনাহ।
♣️ শরীরের অন্যান্য অঙ্গ পতঙ্গকে গুনাহ থেকে বাঁচিয়ে রাখাঃ
শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-পতঙ্গ গুনাহ থেকে বাঁচিয়ে রাখা অর্থাৎ হাত,পা,অন্তর,পেট,লজ্জাস্থানসহ প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সবধরণের গুনাহ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা।সূরা আনআমের 120 নম্বর আয়াতে আছে তোমরা প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব ধরনের গুনাহ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখ।
শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-পতঙ্গ গুনাহ থেকে বাঁচিয়ে রাখা অর্থাৎ হাত,পা,অন্তর,পেট,লজ্জাস্থানসহ প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সবধরণের গুনাহ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা।সূরা আনআমের 120 নম্বর আয়াতে আছে তোমরা প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব ধরনের গুনাহ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখ।
♣️ ইফতারের সময় হালাল সম্পদ থেকে পরিমিত আহার করাঃ
ইফতারের সময় হালাল সম্পদ থেকে পরিমিত আহার করা কেননা আল্লাহ সুরা মুমিনের 51 নম্বর আয়াতে পবিত্র বা হালাল সম্পদ থেকে আহার করতে আদেশ করেছেন অন্যদিকে সূরা বনী ইসরাইলের 27 নম্বর আয়াতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খরচ তথা অপচয় করতে নিষেধ করেছেন।তাছাড়া পুরোপুরি পেট ভর্তি করে না খাওয়া কুপ্রবৃত্তি দমন ও তাকওয়া অর্জনে সহায়ক।
ইফতারের সময় হালাল সম্পদ থেকে পরিমিত আহার করা কেননা আল্লাহ সুরা মুমিনের 51 নম্বর আয়াতে পবিত্র বা হালাল সম্পদ থেকে আহার করতে আদেশ করেছেন অন্যদিকে সূরা বনী ইসরাইলের 27 নম্বর আয়াতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খরচ তথা অপচয় করতে নিষেধ করেছেন।তাছাড়া পুরোপুরি পেট ভর্তি করে না খাওয়া কুপ্রবৃত্তি দমন ও তাকওয়া অর্জনে সহায়ক।
♣️ ভীত হওয়া ও আশা রাখাঃ
রোজা রাখার পর এই ভয়ে ভীত হওয়া যে, হায় কিজানি আমার এ রোজা কবুল হচ্ছে কিনা। পাশাপাশি আশাও রাখা।কেননা,ভয় ও আশার মাঝেই ঈমানের বাস।মহান আল্লাহ তাকে ভয় ও আশা নিয়ে ডাকতে বলেছেন।
আল্লাহ আমাদের ইখলাসের সঙ্গে রোজার ছয়টি আদব পালন করে পরিপূর্ণ মোত্তাকি হয়ে জান্নাতুল ফেরদাউসে যাওয়ার তৌফিক দান করুক-আমিন।
রোজা রাখার পর এই ভয়ে ভীত হওয়া যে, হায় কিজানি আমার এ রোজা কবুল হচ্ছে কিনা। পাশাপাশি আশাও রাখা।কেননা,ভয় ও আশার মাঝেই ঈমানের বাস।মহান আল্লাহ তাকে ভয় ও আশা নিয়ে ডাকতে বলেছেন।
আল্লাহ আমাদের ইখলাসের সঙ্গে রোজার ছয়টি আদব পালন করে পরিপূর্ণ মোত্তাকি হয়ে জান্নাতুল ফেরদাউসে যাওয়ার তৌফিক দান করুক-আমিন।
লেখার মধ্যে ভুল থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। পোস্টটি ভালো লাগলো আপনাদের সোশ্যাল সাইটে শেয়ার করবেন এবং লাইক কমেন্ট করে আপনাদের মতামত জানাবেন।
إرسال تعليق