ramadan image
পবিত্র রমজানে আমরা সঠিকভাবে রোজা পালন করতে চাই কিন্তু আমরা অনেকে জানিনা কি কি কারণে রোজা ভেঙ্গে যায়।আসুন আমরা জেনে নিই কি কি করলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়।
সহবাস:
কোন ব্যক্তি যদি রোজা রাখা অবস্থায় স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত হয় তাহলে তার বীর্যপাত হোক বা না হোক তার রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।এ অবস্থায় রোজা ভঙ্গের ফলে পাঁচটি জিনিস সংগঠিত হয়:
1. কবিরা গুনাহ;আর এর ফলে তাকে তওবা করতে হবে।
2. রোযা বাতিল হয়ে যাবে।
3. তাকে ওই দিনের অবশিষ্ট অংশ পানাহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
4. ঐ দিনের রোযা(রমজানের)পারে কাযা করতে হবে।
5. বৃহৎ কাফ্ফারা আদায় করতে হবে।আর কাফ্ফারা হলো একাধারে দুই মাস রোযা রাখা অথবা একজন গোলাম আযাদ করা কিংবা ষাটজন মিসকিনকে এক বেলার খাবার খাওয়ানো।
সঙ্গম ব্যতীত অন্য পান্থায় বীর্যপাত:
সহবাস ব্যতীত অন্যপন্থায় যদি কোন রোজাদার যৌনস্বাদ নেওয়ার জন্য স্পর্ষকাতর কোন যৌবনা নারীর সংস্পর্শে আসে;তাকে চুম্বন করে;জড়িয়ে ধরে অথবা হস্তমৈথুন করে ইত্যাদির মাধমে বীর্যপাত ঘটায় তবে তার রোযা ভেঙ্গে যাবে।সবার জানা উচিত এই কর্মগুলো যেমন রোজার মাসে হারাম তেমনিভাবে অন্য মাসেও হারাম
হায়েজ-নেপাস:
মহিলাদের হায়েজ(ঋতু) ও নেপাস(প্রসব জনিত রক্ত ক্ষরন)হয় তাহলে নষ্ট হয়ে যাবে,এমনকি যদি ইফতারের কিছু সময় পূর্বেও হয় তাহলেও রোজা ভেঙ্গে যাবে।
পানাহার বা নাক দিয়ে খাদ্য গ্রহণ:
উপকারী হোক বা অপকারী;হালাল হোক বা হারাম;অল্প হোক বা বেশি রোজা ভেঙ্গে যাবে
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন:ওয়া কুলু ওয়াশরাবু হাত্তা ইয়াতাবাইয়্যানা লাকুমুল খাইত্বুল আব্ইয়াজু মিনাল খাইত্বুল আসওয়াদি মিনাল ফাযরি
অর্থাৎ "পানাহার কর যতক্ষণ না কালো রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার ভাবে দেখা যায় "(সূরা বাকারা;আয়াত:১৮৭)
পানাহারের বিকল্প:
রোযাদার যদি পানাহারের বিকল্প উপায়ে খাবার গ্রহণ করে যেমন:রক্ত গ্রহণ;শক্তিবর্ধক স্যালাইন গ্রহণ;এমন injection যা আহারের কাজ করে ইত্যাদি নিয়ে থাকে তাহলেও রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
ইচ্ছাকৃতভাবে বমি:
রাসূল (সা:) বলেন যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করে সে যেন পরবর্তীতে রোযা কাযা করে নেয়। (মুসলিম)
দূষিত রক্ত বের করা:
দেহ থেকে দূষিত রক্ত বের করলে রোজা নষ্ট হবে কি হবেনা তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে তবে দিনের বেলায় রোজা থাকা অবস্থায় এ কাজ না করাই উত্তম
নিয়ত বাতিল:
নিহত প্রত্যেক ইবাদত তথা রোজার অন্যতম রুকন আর সারাদিন সে নিয়ত মনে জাগ্রত রাখতে হবে যে ,আমি রোজাদার;যাতে রোজা না রাখা বা বাতিল করার কোন দৃঢ় সংকল্প না করে বসে।বলা বাহুল্য রোজা রাখার নিয়ত করলে এবং তার নিয়ত বাতিল করে দিয়ে সারাদিনের পানাহার না করে উপবাস করলেও রোজা বাতিল গণ্য হবে।সুতরাং আমরা নিয়ত করব এবং নিয়ত রাখবো।
মুরতাদ্ হওয়া:
কোন রোযাদার যদি তার কোনো কথা কাজের পরে যদি মুরতাদ(কাফের)হয়ে যায় তবে ওলামায়ে কেরামের সম্মতিক্রমে তার রোযা বাতিল হয়ে যাবে অতঃপর সে যদি তওবা করে পুনরায় মুসলিম হয় তাহলে এই রোজা তাকে কাযা করতে হবে যদিও সে ঐ দিনের রোযা নষ্টকারী কোন কাজ বা কোন জিনিস ব্যবহার করেনি।
বেহুশ হওয়া:
রোযাদার যদি ফজর থেকে মাগরিব পর্যন্ত বেহুশ থাকে তাহলে তার রোযা শুদ্ধ হবে না এবং তাকে ঐ দিনের রোযা কাযা রাখতে হবে।
উপরোক্ত আলোচনার সকল ব্যাখ্যা কেবল তখনই রোজা নষ্ট করবে যখন শর্তগুলো প্রত্যক্ষ ভাবে কারো মধ্যে পাওয়া যাবে।
রোজাদার জানবে যে এই জিনিস এই সময় ব্যবহার করলে তার রোযা নষ্ট হয়ে যাবে।
樂তা যেন মনে স্মরণ থাকা অবস্থায় ব্যবহার করে;ভুল করে নয়।
樂 উপরের কাজগুলো সে যেন নিজের ইচ্ছায় করে অন্যের ইচ্ছায় নয়।
আল্লাহ যেন আমাদের কে উপরোক্ত কাজগুলো থেকে বিরত থাকার তৌফিক দান করুক -আমিন

Post a Comment

Previous Post Next Post